সরকারি চাকুরীতে ৯ বছর পূর্ণ হতে আমার প্রায় আর ৩/৪ মাস বাকী আছে। তাই আমার অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভারী না হলেও অনভিজ্ঞ বলা যায় না। এই স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে দেশে এই নয় বছরে প্রায় কয়েকটি জাতীয় বিপর্যয় যেমন সিডর,  সুনামি (পরে বন্যা), আইলা এবং অল্প কিছুদিন আগে সাভারে অবস্থিত রানা প্লাজার ভবন ধসে যে দূঘর্টনা ঘটে, যা ইতিহাসের পাতায় অন্যতম সেরা মানবিক বিপর্যয় হিসেবে হাজার হাজার বছর ধরে অক্ষত থাকবে।
এমন মানবিক বিপর্যয়ে মানবজাতির সবার উচিত স্ব স্ব অবস্থান থেকে হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে দ্বিমতকারীর সংখ্যা অতি নগন্য। কিন্তু আপসোসের ব্যপার হল আমরা যারা সরকারি চাকুরী করি আমাদের কোন প্রকার আলোচনা কিংবা কোন মতামত না নিয়ে সরকার তথা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে সকলের একদিনের বেতন কর্তৃন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

আমরা যারা ফিল্ড লেভেলে চাকুরী করি ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছা (সত্য হল অনিচ্ছা) সত্ত্বেও স্ব স্ব দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের হাতে হাসিমুখে (নকল) জমা দিয়ে আসি। হয়ত এ লেখা পড়ে ভাববেন আমি অস্বাভাবিক ‍ও অমানবিক কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখন, আজ জাতির এই বড় ক্ষতি কি কারনে এবং কার কারনে? ঐ ভবনের মালিক রানা কে? এই এক রানার জন্য কেন সকল সরকারী চাকুরীজিবীদের (প্রায় ১১ লক্ষ) মুছলেখা দিতে হবে? 

আর সর্বমোট কত টাকা জমা হলো? কারা জমা দিয়েছেন কিংবা জমা দেন নি? এ ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য সরকারের কাছে আছে!!! না মাঝপথে কোন কুমিলে কিছু খেয়ে পেলল, এই খবর কে দিবে?

আমার প্রশ্ন- বড় কোন দূর্যোগ হলেই সরকারি চাকুরীদের একদিনের বেতন ঘ্যাচ্যাং করে কাটতে যেমন কোন আলোচনা বা মতামতের তোয়াক্কা করা হয় না, ঠিক তেমনি জাতীয় কোন গুরুত্বপূর্ন দিবস, কিংবা ঘটনা অথবা জাতীর আনন্দঘন কোন একদিন (যেমন স্বাধীনতা দিবস কিংবা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বড় দেশের বিরুদ্ধে জয়, প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির জন্মদিন) উপলক্ষ্যে তো একঘন্টার বেতনও বাড়িয়ে দেওয় হয় না!!!!!!!!!
তাহলে কেনই বা এই কর্তৃন রীতি???? কেনই বা একজনের জন্য লক্ষ লক্ষ জনের প্রায়চিত্ত্ব!!!!!!!!!!!!! 
জাতীর বিবেকের কাছে আজ আমি .................................. !!!!!!!!!!!!