আজ থেকে ঠিক দশ বছর পিছিনে ফিরে দেখুন প্রযুক্তির অভাবনীয় সাফল্যের কারনে ঐ সময়ের মোষ্ট ওয়ান্টেড সিমেন্স সি-২৫ এবং সি-৩৫ মোবাইল সেটগুলি বর্তামনে জাদুঘরে গিয়ে খুজে পাবেন না। 


  অথচ চোখ বন্ধ করলে স্পষ্ট দেখতে পাই একটি সিমেন্স সি-25 মোবইল সেট একটি গ্রামীন ফোনের সীম কিনতে সর্বমোট ১১,৫০০/= টাকা গুনতে হয়েছে, শুধুই তাই নয় একপ্রাকর সংগ্রাম করে সকাল থেকে দাড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগেছে সেটটি হাতে আসতেআর বর্তমানে মাল্ডিমিডিয়া ফোনের বাজার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এখনও মোটামোটি অর্ধেক দখলে থাকলেও আর বেশি দিন নেই বিলুপ্তি হতে। যার কারণ এই স্মার্ট ফোন। কি নেই এর মধ্যে হয়তো আপনার বিশ্বাসই হবে না বর্তমানে বিশ্বের বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো কম্পিউটারের সফট তৈরীর চেয়ে স্মার্ট ফোনের সফট তৈরীর জন্য বেশি ইনভেস্ট করছে।


য়ার মূল কারণ, ইউজারের একান্ত নিজের মতো করে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সকল কাজই যে কোন স্থানে, যে কোন সময়ে করতে পারার জন্য। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় হবে আমি নিজেও স্যামসাং কোম্পানির একটা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছি। দীর্ঘ দিনের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বর্তামানে সারাবিশ্বের কামিনারা (হ্যাকররা) কম্পিউটার এর চেয়ে স্মার্ট ফোনের নিরাপত্তার ইজ্জত লুটার জন্য কোমর বেধে চাড্ডি পরে নেমেছে। তাই সর্বপ্রথন স্মার্ট ফোনের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্তকতা থাকা আবশ্যক আর এ জন্য কিছু পরামর্শ যা কাজে আসতে পারে-
প্রতিটি স্মার্টফোনেই নিরাপত্তা সংকেত ব্যবহার করে ফোন আনলক করে রাখা যায়। নিরাপত্তা সংকেতটি অবশ্যই সহজ না হয়ে কঠিন হওয়া উচিত। মাঝে মাঝে এই সংকেত বদলানো উচিত। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ আপনার যন্ত্রে ঢুকতে পারবে না। এমনকি ফোনটি চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলেও তথ্য থাকবে সুরক্ষিত। নিরাপত্তা কোড বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে প্রথমে স্মার্টফোনের Setting-এ গিয়ে Security অপশনে যান। এরপর Change screen lock অপশনে গিয়ে Password অপশনটি পাবেন।

স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই আপনি প্রচুর অ্যাপস স্টোর থেকে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।  বিনা মূল্যে পাওয়া যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার আগে ভেবে দেখুন, এটি একটি ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস  কি না, দেখে নেবেন, অ্যাপ্লিকেশনটি কারা তৈরি করেছে, এর কী কাজ ও এর পর্যালোচনাগুলো।

সতর্ক থাকুন ওয়াই-ফাই জোনে
ওয়াই-ফাই হটস্পটে প্রায় সবাই পাবলিক ওয়াই ফাই ব্যবহার করতে পারে। এ বিষয়টি স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যেসব হটস্পটে নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল, সেখানে পারতপক্ষে ইন্টারনেট ব্যবহার না করাই ভালো।
মুছে ফেলুন সব তথ্য
স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে ফোনে সংরক্ষিত সব তথ্য আপনি চাইলে মুছে ফেলতে পারেন। আপনার ফোনটি যদি অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি কিংবা উইন্ডোজ ফোন হয়, তাহলে অন্যদের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সহজে রিমোটলি সব তথ্য ফোন থেকে মুছে ফেলা যায়। যেমন আইফোনের ক্ষেত্রে মোবাইলমি (MobileMe) অ্যাপটি চালু করে নিলে এটি ব্যবহার করে অ্যাপলের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আইফোনটিকে ট্র্যাক করা যায় কিংবা সব তথ্য রিমোটলি মুছে ফেলা যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যাপল স্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারবেন।

নিরাপত্তা হালনাগাদ রাখুন
আপনার স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করুন অথবা সেগুলো হালনাগাদ রাখুন সব সময়। হালনাগাদ ফাইলগুলোয় সিকিউরিটি ফিক্সের বিষয়গুলোও থাকে, যা আপনার স্মার্টফোনটিকে আরও নিরাপত্তা দেয়।


জিপিএস চালু রাখুন প্রয়োজনে
কেবল প্রয়োজনেই জিপিএস ব্যবহার করুন। যেসব অ্যাপ্লিকেশনে আপনার অবস্থান-সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়, সেগুলোও পরিহার করার চেষ্টা করুন।

নিষ্ক্রিয় রাখুন ব্লুটুথ
অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ব্লুটুথ সব সময় সক্রিয় রাখেন। ব্লুটুথ সহজেই হ্যাকারদের জন্য সিকিউরিটি হোল তৈরি করে দেয়। কাজেই ব্লুটুথ সব সময় অফ করে রাখাই নিরাপদ। তা ছাড়া ব্লুটুথ অন থাকলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জও দ্রুত শেষ হয়।

সস্তার তিন অবস্থা’’ তাই গুগুল মামার মার্কেটে এন্ট্রিভাইরাসের যে ফ্রি অথবা ট্রায়াল ভার্সান পাওয়া যা্য় তাতে ইজ্জত সবটুকু রক্ষা করা প্রায়ই সম্ভব হয় না অথবা ঐগুলোই চাড্ডি পরা কামিনা!!(ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস) তাহলে উপায়, আছে জনপ্রিয় এন্ট্রিভাইরাস কোম্পানি ক্যাসপারস্কি-এর ফ্রি ভার্সান লাইট এবং পেইড ভার্সান দুইটি ব্যববহার করতে পারবেন

https://www.dropbox.com/home/backup?select=com.kms.free.apk
https://www.dropbox.com/home/backup?select=com.kms.apk